ব্রেকিং নিউজ
জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল, প্রতীক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাস ঘোষনা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সত্য ঘটনা খোঁজা ও সংবাদ প্রকাশ করা সংবাদ কর্মীদের কাজ---- ভূমির স্মার্ট মালিকানা নিশ্চায়নে ডিজিটাল জরিপ নতুন নামজারিতে লাগবে ৭ ডকুমেন্টস উন্মুক্ত ইসলামী শিক্ষা ফাউন্ডেশন পরিচালিত দ্বীনি শিক্ষা প্রদর্শনী ও মাহফিল অনুষ্ঠিত। কাশ্মির ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পাক-ভারত যুদ্ধ ও বাংলাদেশের করণীয় সর্বনিম্ন আয়কর ৫০০০/- পাঁচ হাজার টাকা
নতুন নামজারিতে লাগবে ৭ ডকুমেন্টস - ShadhinKantho
Advertisement Space

নতুন নামজারিতে লাগবে ৭ ডকুমেন্টস

News Image
\r\n\r\nস্বাধীনকন্ঠ নিউজ ডেস্ক---ভূমি নামজারির আবেদনে ডকুমেন্টসের ঘাটতির কারণে তাদের আবেদন এসিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ থেকে ‘নামঞ্জুর’ বা ‘স্থগিত’ হয়ে যায়। ফলে তারা পড়ে যান হয়রানি ও দুশ্চিন্তায়। অথচ আগেই যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখা হয়, তাহলে নামজারির প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ ও সরল হতে পারে।\r\nনতুনভাবে নামজারি করতে গেলে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস অবশ্যই আপনার সংগ্রহে থাকতে হবে। এদের যেকোনো একটি না থাকলে আপনার আবেদনটি স্থগিত হয়ে যাবে, এবং এসিল্যান্ড অফিস থেকে কারণ দর্শানো হবে। ফলে আবার নতুন করে ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে, যা সময় ও ভোগান্তি বাড়ায়।\r\nপ্রথম--- জমির মূল দলিল। আপনি যে উপায়ে জমির মালিক হয়েছেন, সেই ভিত্তির দলিলটি (যেমন: বিক্রয়, হেবা, দান, বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া দলিল) অবশ্যই রেজিস্ট্রি হওয়া লাগবে এবং তা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।\r\nদ্বিতীয়----বায়া দলিল বা আগের মালিকের দলিল। আপনি যাঁর কাছ থেকে জমি পেয়েছেন, তিনি কীভাবে মালিক হয়েছেন—তার প্রমাণপত্র হিসেবে তাঁর দলিলের ফটোকপি বা সার্টিফায়েড কপি রাখতে হবে।\r\nতৃতীয়-----সর্বশেষ রেকর্ড খতিয়ান। আপনার এলাকার সর্বশেষ রেকর্ড যেটি হয়েছে (যেমন: আরএস, বিআরএস), সেটি জমির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি জমিটি আপডেট খতিয়ানে না থাকে, তাহলে পরবর্তীতে বিরোধের সৃষ্টি হতে পারে।\r\nচতুর্থ---ভমি উন্নয়ন করের দাখিলা রসিদ। এটি জমির খাজনা দেওয়ার রসিদ, যাকে ডিসিআরও বলা হয়। আপনি জমি হস্তান্তরের পরে খাজনা না দিয়ে থাকলেও, পূর্ববর্তী মালিকের শেষ খাজনার রসিদটি হলেও জমা দিতে হবে। এটি প্রমাণ করে জমিটি সরকারিভাবে নিয়মিতভাবে খাজনা দেওয়া হচ্ছে।\r\nপঞ্চম----পাসপোর্ট সাইজের ছবি। আবেদনকারীর একটি ল্যাব প্রিন্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি অবশ্যই দিতে হবে, যা দীর্ঘস্থায়ী ও সরকারি কাজে গ্রহণযোগ্য।\r\nষষ্ঠ---একটি ব্যক্তিগত ও সচল মোবাইল নম্বর, যেটি অবশ্যই রেজিস্ট্রেশনকৃত হতে হবে। এই নম্বরে ভূমি অফিস থেকে এসএমএস পাঠানো হবে, যেমন—আবেদন গৃহীত হয়েছে কি না, কোনো আপত্তি আছে কি না ইত্যাদি।\r\nসপ্তম--- যদি সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই আপোষ বন্টননামার দলিল দিতে হবে। সব ওয়ারিশদের মধ্যে লিখিতভাবে সম্পত্তি বণ্টনের দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে। কেউ যদি আপোষ না করে, তাহলে আদালতের মাধ্যমে বাটোয়ারা মামলা করে সেই রায়ের কপি জমা দিতে হবে।\r\nএই সাতটি কাগজপত্র পূর্ণাঙ্গ থাকলে এসিল্যান্ড কোনো আপত্তি তুলবেন না এবং আপনার নামজারি প্রক্রিয়াটি স্বল্প সময়েই সম্পন্ন হবে। কিন্তু কোনো একটিতেও ঘাটতি থাকলে সেটি ফেরত দেওয়া হবে, অথবা আপনাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ এবং বিড়ম্বনার।\r\nসবশেষে, মনে রাখা দরকার, নামজারি মানেই আপনার নামে সরকারি খতিয়ান—যেটি জমির মালিকানার চূড়ান্ত স্বীকৃতি। এটি না থাকলে জমির ওপর আপনার দাবি ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই দেরি না করে, প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে নামজারির আবেদন করুন।

মন্তব্য করুন

স্বাধীন কণ্ঠ